হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দিনসমূহের মধ্যে এমন কোন দিন নাই যেদিনগুলোর আমল আল্লাহর নিকট এই দশ দিন (অর্থাৎ; যিল-হজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিন) অপেক্ষা অধিক উত্তম। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ওগো আল্লাহর নবী! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও কি এই দিনগুলির আমলের চেয়ে প্রিয় নয়? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও নয়। তবে হাঁ, যদি কোন ব্যক্তি তার জান-মাল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় অতঃপর এসবের কিছুই নিয়ে সে বাড়ি না ফেরে (অর্থাৎ; তার সমস্ত মাল আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে এবং সে নিজেও শহীদ হয়ে যায়) তাহলে এমন জিহাদ অবশ্য এই দিনগুলির আমল হতে উত্তম হবে। رواه البخاري))
হযরত ইবনে উমার (রা.) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এমন কোন দিন নাই যে দিনের আমল আল্লাহর নিকট এই দশ দিনের আমলের চেয়ে অধিক প্রিয় ও মর্যাদাবান। (অর্থাৎ; এই দশ দিনের আমল অন্য কোন দিনের আমলের সাথে তুলনা যোগ্য নয়) ...
প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0 | বিস্তারিত পড়ুন
১
মহান প্রেমের চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শনের দ্বারপ্রান্তে আমরা উপস্থিত, নিজেদের সবচে প্রিয় বস্তুটি করুনাময়ের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার অমিয় শিক্ষা নিয়ে এল পবিত্র কুরবানী। আল্লাহর জন্য কুরবানী করা হযরত আদম আ. এর যামানা থেকেই প্রচলিত।
ঐ সময় মানুষ কুরবানী করে মাঠে রেখে আসত, যার কুরবানী আল্লাহর দরবারে কবূল হত আসমান থেকে আগুন এসে তার কুরবানী করা পশু জ্বালিয়ে দিত।
আল্লাহ তা’আলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের থেকে কুরবানী নিতেন। সে ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম আ. কে আদেশ করেছিলেন তাঁর প্রাণাধিক পুত্র ইসমাইলকে কুরবানী করার।
জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম আ. কঠোর পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন, তিনি সে পরীক্ষা শতভাগ উতীর্ণ হয়েছিলেন। মহান আল্লাহ তা’আলা খলীলুল্লাহর সেই অমর প্রেম কাহিনীকে আমলী রূপ দিয়ে আমাদের মাঝে জীবন্ত করে রেখেছেন। খলীলুল্লাহ হযরত ইবরাহীম আ. ইরাকের অধিবাসী ছিলেন। সেখান থেকে হিযরত করে শাম-সিরীয়ায় চলে আসেন, সেখানেই জন্মগ্রহণ করেন তাঁর প্রাণাধিকপুত্র হযরত ঈসমাইল আ.। স্তন্যপায়ী ঈসমাইলকে নিয়ে সুদূর মক্কায় হিযরতের ...
প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0 | বিস্তারিত পড়ুন