বিস্তারিত

নফোল রোযা ও তার ফযীলত:

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 16 এপ্রিল

 

  عن أبى هريرة قال قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم- : كل عمل ابن آدم يضاعف الحسنة عشر أمثالها إلى سبع مائة ضعف. قال الله عز وجل : إلا الصوم فإنه لى وأنا أجزى به ، يدع طعامه وشهوته من أجلى ، للصائم فرحتان فرحة عند فطره ، وفرحة عند لقاء ربه ، ولخلوف فيه أطيب عند الله من ريح المسك ، الصوم جنة.

হযরত আবু হুরাইরা (র.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন: প্রত্যেক বনী আদমের নেকী দশগুণ থেকে সাতশতগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ পাক বলেন, কিন্তু রোযা ব্যতীত। কেননা রোযা একমাত্র আমার জন্যেই রাখা হয়, এ জন্য আমি নিজই রাযার প্রতিদান দব। কননা স একমাত্র আমাই জন্য পাশবিক চাহিদা ও খানা-পিনা বর্জন করে থাকে। রোযাদারের জন্যে দুইটি খুশি, একটি খুশি ইফতারর সময় অপরটি তার প্রভুর সাথে সাক্ষাতর সময়। নিশ্চয় রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশক অপেক্ষাও অধিক গন্ধময় ও পছন্দনীয়। রাযা দুনিয়ায় শয়তানর আক্রমণ ও পরকাল জাহান্নামের আগুন হত রক্ষার জন্য ঢাল স্বরুপ। (বাখারী ও মুসলিম)

আরাফার দিবসের রোযা:

                                                                                                                                                                                                                       صيام يوم عرفة احتسب على الله ان يكفر السنة التى قبله والسنة التى بعده     

নবী করীম স.বলেছেন,আমি মহান আল্লাহ পাকের কাছে আশাবাদী যে, আরাফার দিবসের রোযা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী এক বছরের গুনাহর জন্য কাফফারা স্বরুপ। (মুসলিম শরীফ)

মুহাররমের রোযা:

عن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم افضل الصيام بعد رمضان شهر الله المحرم                                                                            

হযরত আবু হুরাইরা র. থেকে বর্ণিত, নবীকরী স.বলেছেন, মাহে রমযানের রোযার পর সর্বত্তোম রোযা মুহাররম মাসের রোযা। অপর এক বর্ণনায় এসেছে, আমি মহান আল্লাহ পাকের কাছে আশাবাদী যে, মুহাররমের রোযা পরবর্তী এক বছরের গুনাহ মুছে দিবে। (মুসলিম শরীফ)

শাওয়াল মাসের ছয় রোযা:

عن أبي أيوب الأنصاري - رضي الله عنه - أن رسول الله - صلى الله عليه وسلم - قال: من صام رمضان, ثم أتبعه ستا من شوال كان كصيام الدهر (رواه مسلم)

হযরত আবু আইয়ূব আনছারী র.হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রেখে শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখবে, সে সারাজীবন রোযা রাখার ছওয়াব পাবে।(মুসলিম শরীফ)

আইয়ামে বীযের রোযা:

( প্রতি আরবী মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারীখের রোযা)

عن أ بي قتادة الأنصاري رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ثلاثة من كل شهر، ورمضان إلى رمضان، صوم الدهر

হযরত আবু ক্বাতাদাহ র. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রতি মাসে তিন দিন রোযা রাখা এবং মাহে রমযানের রোযা এক রমযান থেকে অন্য রমযান পর্যন্ত সারা বছর রোযা পালন করার সমান।

( মুসলিম শরীফ)

প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবারের রোযা:

عن أَبي هريرة - رضي الله عنه - عن رسول الله - صلى الله عليه وسلم - قَالَ : تُعْرَضُ الأَعْمَالُ يَومَ الاثْنَيْنِ وَالخَمِيسِ ، فَأُحِبُّ أنْ يُعْرَضَ عَمَلِي وَأنَا صَائِمٌ.رواه الترمذي ، وقال : ( حديث حسن ) ، ورواه مسلم بغير ذِكر الصوم .

হযরত আবু হুরাইরা র. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সোমবার ও বৃহস্পতিবার মানুষের আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়, তাই আমি আমার আমল পেশ করার সময় রোযা অবস্থায় থাকতে ভালবাসী (তিরমিযী ও মুসলিম)

হে আল্লাহ! আমাদের বেশী বেশী নফল এবাদত করার তাওফীক দাও।


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0


আপনার মন্তব্য লিখুন


Graveter Image

নাম

April 12