দরছে কুরআন

ঐশ্বর্যতা ও দরিদ্রতা

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 19 সেপ্টেম্বর

الله يبسط الرزق لمن يشاء من عباده ويقدر له إن الله بكل شيء عليم

অর্থ,আল্লাহ পাকই তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তার রিযিক বাড়িয়ে দেন এবং যাকে ইচ্ছা তার রিযিক সীমিত করেন। নিশ্চয় আল্লাহ পাক সব বিষয়ে সম্পূর্ণ অবগত।(আনকাবুত; ৬২)

রিযিকের চাবিকাঠি সম্পূর্ণভাবে আল্লাহ পাকের হাতে, মানুষের হাতে নয়। এর সব কিছু আল্লাহ পাকের ইচ্ছাধীন এবং নিয়ন্ত্রণাধীন। এজন্যে দুনিয়াতে অনেক যোগ্যতা এবং ডিগ্রী লাভ করেও জীবিকার সংস্থান করা সম্ভব হয় না, অথচ যারা একেবারেই অক্ষম, অসহায় এমন প্রাণীও যথা সময়ে রিযিক পেয়ে থাকে।

আল্লামা ইবনে কাসীর (রঃ)  এপর্যায়ে লিখেছেন যে, আল্লাহ পাক প্রাণী মাত্রকেই রিযিক দিয়ে থাকেন। তার একটি দৃষ্টান্ত হলো কাকের বাচ্চা যখন জন্ম গ্রহণ করে তখন তাদের পাখা ও পশম সাদা থাকে। এরূপ দেখে কাক তাকে ঘৃণা করে পালিয়ে যায়। বিছুদিন পর যখন বাচ্চার পশমগুলোর রং কালো হয়ে যায় তখন তার মা-বাপ ফিরে আসে এবং তকে আদার খাওয়ায়। কিন্তু এই বাচ্চার প্রাথমিক দিনগুলোতে যখন তার মা-বাপ তার প্রতি ঘৃণার কারণে পালিয়ে ...


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন

 


হারানো সম্পদ খুঁজে নিন

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 14 ফেব্রুয়ারি

হারানো সম্পদ খুঁজে নিন!!!

..................................

যে নিজের উপর আস্থা হারায় সে আবার অন্যের উপর আস্থা রাখবে কিভাবে! যে আস্থা হারায় সে আস্তে আস্তে মানুষিক রোগী হয়। ঈমানদার কখনও আস্থা হারায় না। ঈমানদারদের আস্থা-বিশ্বাস সদা-সর্বদা আল্লাহ তা’আলার উপর। বিপদাপদ-বালা মুসীবাতে যাদের যবান থেকে নিজের অজান্তেই

 لا حول ولا قوة إلا بالله العلي العظيم

 বের হয় সে কখনও ঈমানী শক্তি হারায় না। সে সর্বদা আস্থাবানই থাকে। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন: আরশ বহনকারী ফিরিশতাদের কাঁধ থেকে পা পর্যন্ত পাঁচশত  বছরের দূরত্ব। তিনি আরো বলেন: আল্লাহ তা’আলা যখন আরশ তৈরী করলেন তখন আরশ বহনকারী ফিরিশতাদের বললেন: আমার আরশ উঠাও। কিন্তু তাঁরা আরশ উঠাতে সক্ষম হলেন না। অতঃপর এক-একজন  ফিরিশতাকে সাহায্যের জন্যে আল্লাহ তা’আলা  আসমানে তাঁর যে পরিমাণে বাহিনী রয়েছে এ পরিমাণে ফিরিশতা সৃষ্টি করলেন। অতঃপর বললেন: উঠাও আমার আরশ । এরপরও তাঁরা আল্লাহ তা’আলার আরশ উঠাতে সক্ষম হলেন না।

 পুণরায় আল্লাহ তা’আলা এক-একজন ফিরিশতাকে সাহায্যের জন্যে সাত আসমান ও সাত যমীনে তাঁর যে পরিমাণ ...


প্রসঙ্গ: ইসলামী জ্ঞান মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন

 


তাফসীর শাস্ত্রের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 24 নভেম্বর

 

অভিধানিক অর্থ: অভিধানিক  দৃষ্টিকোন থেকে তাফসীর (تفسیر)  শব্দের অর্থ স্পষ্ট করা, প্রকাশ করা, প্রসারিত করা, ব্যাখ্যা করা, যেমন যেমন আল্লাহর বাণী: -وَلَا يَأْتُونَكَ بِمَثَلٍ إِلَّا جِئْنَاكَ بِالْحَقِّ وَأَحْسَنَ تَفْسِيرًا

“ তারা আপনার কাছে কোন সমস্যা উপস্থাপন করলেই আমি তার সঠিক জওয়াব  ও ব্যাখ্যা প্রদান করি।  تفسیر শব্দটি  فسر শব্দমূল হতে গৃহত। যার অর্থ, উদঘাটন করা, উন্মুক্ত করা।স্পষ্ট করা। লিসানুল আরব প্রণেতা বলেন: الفسر  অর্থ, বয়ান তথা স্পষ্ট ব্যাখ্যা, যেমন বলা হয়: فسرہ অর্থাৎ স্পষ্ট করেছে। অতঃপর তিনি বলেন:  الفسر  অর্থ পর্দা উন্মোচন আর তাফসীরের কাজ হলো, অস্পষ্ট শব্দের মূল তত্ত্ব উদঘাটন করা।  মূলত ر - س- ف  ও ر - ف- س এই উভয় শব্দ মূল উন্মুক্তকরণ ও যবনিকা উন্মোচনের অর্থে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ر - ف- س শব্দমূল সাধারণত বাহ্য ও জড় বস্তুর উন্মোচন অর্থে এবং ر - س- ف অভ্যন্তরীণ ও অজড় বস্তুর উন্মোচন অর্থে ব্যবহৃত হয়। ডাক্তার ...


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন

 


সাহরী খাওয়ার শেষ সময়সীমা:

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 24 নভেম্বর

সাহরী খাওয়ার শেষ সময়সীমা:
........................................
একটি ভ্রান্তি নিরসন
.......................
নিম্নে বর্ণিত হাদীসটির কারণে অনেকের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয় এবং বলতে শোনা যায় যে, ফজরের আযানের পরেও সাহরী খাওয়া অনুমতি রয়েছে হাদীসে এবং দলীল স্বরূপ তারা এ হাদীসটি পেশ করে  থাকেন:
عن أبي هريرة  رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا سمع أحدكم النـداء والإناء على يده فلا يضعه حتى يقضي حاجته مـنه ) صحيح أبي داؤد(
অর্থ: হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সা. ইরশাদ করেছেনে যখন তোমরা কেউ আযান শুনবে আর খাদ্যের পাত্র হাতে থাকে, তবে সে যেন তা রেখে না দেয় যে পর্যন্ত সে  তা হতে নিজের প্রয়োজন পূর্ণ না করে। (আবু দাউদ)
উক্ত হাদীসের কারণে অনেকেই মনে করেন, ফজরের আযানের পরেও সাহরী খাওয়া যায়।
আসলে এমন ধারণা করা আর হাতির দাঁতকে কলাগাছ মনে করা সমান। কারণ সাহরীর সময়সীমার বর্ণনা এসেছে সরাসরি কোরআন মাজীদে ইরশাদ হচ্ছে:
وَكُلُوا وَاشرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ ...


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন

 


সকাল-সন্ধ্যার দোয়া

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 07 আগস্ট

(১)    আয়াতুল কুরসী (১ বার)। (সূরা বাক্বারার, আয়াত; ২৫৫)

(২) ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ (৩ বার(। ক্বুল আউ-যু বিরব্বিল ফালাক্ব (৩ বার(।

 ক্বুল আউযু বিরব্বিন্না-স (৩বার)।

لَا إلٰهَ إلَّا اللّٰہُ وَحْدَهٗ لاَ  شَرِيْكَ لَهٗ لَهٗ الْمُلْكُ وَ لَهٗ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ .

 (৩)  লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া

আলা-কুল্লি শাইয়িং ক্বদীর। (১ বার, ১০ বার বা ১০০ বার) ।

 

অর্থ: “আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বূদ নেই, তিনি একক তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই এবং যাবতীয় প্রশংসার অধিকারীও তিনি, তিনি সকল বস্তুর উপর ক্ষমতাবান”।

سُبْحَانَ اللهِ وَ بِحَمْدِهٖ

 (৪) সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াবি হামদিহি। (১০০ বার)

অর্থ: “প্রশংসা সহকারে আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি”।

بِسْمِ اللهِ الَّذِىْ لاَ  يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْئٌ فِى الٗأَرْضِ وَ لاَ فِى السَّمَاءِ وَ هُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ ..

(৫) বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা-য়াযুররু মা‘আসমিহী শাইউং ফিল আরযি ওয়ালা-ফিস্ সামা-য়ি ওয়াহুওয়াস্ সামীউল

আলীম। (৩ বার)

অর্থ: “শুরু করছি সেই আল্লাহর নামে, যার নামের সাথে আসমান এবং যমীনের কোন বস্তুই কোন ক্ষতি করতে পারবে ...


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন