(১)
আগ্রা শহরে, যমুনার তীরে, দ্বাড়িয়ে রয়েছে তাজমহল,
প্রেমিকার তরে, কালের কোপলে, চিরনির্ঝর চোখের জল।
যুগযুগ ধরে কহিতেছে ইহা, দৃঢ় প্রত্যয় নিয়া,
স্বামীই হচ্ছে শ্রেষ্ট প্রেমিক; স্ত্রীই হচ্ছে শ্রেষ্ট প্রিয়া।
তাজমহলের পাথরে পাথরে, দাম্পত্য প্রেমের জয় জয় গান,
বাম কবরে স্ত্রী মমতাজ, ডান কবরে স্বামী শাহজাহান।
পবিত্র কালাম মুখেতে জপিয়া যারা বেঁধেছিল বাসর ঘর,
সেই বাসরকে মাটির তলে স্থাপন করিলেন জগদীশ্বর।
কত ভালোবাসা স্বামীর হৃদয়ে প্রিয়তমা স্ত্রীর তরে,
মরিয়াও তারা করিতেছে প্রেম মাটির বাসর ঘরে।
(২)
এটা ছিলনা পরকীয় প্রেম, এটা ছিলনা ভ্রষ্টামী,
বিয়ে না করেই যুবক যুবতীর আধুনিক যত নষ্টামী ।
বোটানিকালে অবিবাহিত কপত কপতী বসে কত,
ওরাও প্রেমিক, ওরাও প্রেমিকা, তবে কুকুর- কুকুরীর মত।
কুকুর মেলে যেখানে সেখানে; কুকুরের নেই বিবাহ বাসর,
দিকে দিকে আজি গজিযে উঠছে বেহায়াপনার আসর।
(৩)
শাহজাহান ছিলেন পাকা নামাজী, পূত চরিত্রের অধিকারী,
স্ত্রী ব্যতিরেকে অবৈধভাবে খোঁজেননি তিনি অন্যনারী।
তাইতো যখন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন প্রাণের স্ত্রী,
বিষাদ হইল স্বাধের জীবন, বিষাদ হইল ধরিত্রী।
রাজ্য ছিল, প্রজাও ছিল, শুধু ছিলনা মমতাজ মহল,
তাইতো তিনি মনস্থ করলেন, বানাবেন এক তাজমহল।
এ নহে শুধু সমাধি ...
প্রসঙ্গ: ইসলামী জ্ঞান মন্তব্য: 0 | বিস্তারিত পড়ুন
الله يبسط الرزق لمن يشاء من عباده ويقدر له إن الله بكل شيء عليم
অর্থ,আল্লাহ পাকই তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তার রিযিক বাড়িয়ে দেন এবং যাকে ইচ্ছা তার রিযিক সীমিত করেন। নিশ্চয় আল্লাহ পাক সব বিষয়ে সম্পূর্ণ অবগত।(আনকাবুত; ৬২)
রিযিকের চাবিকাঠি সম্পূর্ণভাবে আল্লাহ পাকের হাতে, মানুষের হাতে নয়। এর সব কিছু আল্লাহ পাকের ইচ্ছাধীন এবং নিয়ন্ত্রণাধীন। এজন্যে দুনিয়াতে অনেক যোগ্যতা এবং ডিগ্রী লাভ করেও জীবিকার সংস্থান করা সম্ভব হয় না, অথচ যারা একেবারেই অক্ষম, অসহায় এমন প্রাণীও যথা সময়ে রিযিক পেয়ে থাকে।
আল্লামা ইবনে কাসীর (রঃ) এপর্যায়ে লিখেছেন যে, আল্লাহ পাক প্রাণী মাত্রকেই রিযিক দিয়ে থাকেন। তার একটি দৃষ্টান্ত হলো কাকের বাচ্চা যখন জন্ম গ্রহণ করে তখন তাদের পাখা ও পশম সাদা থাকে। এরূপ দেখে কাক তাকে ঘৃণা করে পালিয়ে যায়। বিছুদিন পর যখন বাচ্চার পশমগুলোর রং কালো হয়ে যায় তখন তার মা-বাপ ফিরে আসে এবং তকে আদার খাওয়ায়। কিন্তু এই বাচ্চার প্রাথমিক দিনগুলোতে যখন তার মা-বাপ তার প্রতি ঘৃণার কারণে পালিয়ে ...
প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0 | বিস্তারিত পড়ুন
আলহামদুলিল্লাহ।
এক:
আমরা আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এমন একটি মাসয়ালার শরয়ি হুকুম জিজ্ঞেস করার জন্য, বর্তমানে যে সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। আমরা আমাদের জন্য ও আপনাদের জন্য কথা ও কাজে তাওফিক প্রার্থনা করছি।
দুই:
কোন পুরুষ ডাক্তারের জন্য মহিলাদের চিকিৎসা করা জায়েয নয়। তবে যদি মুসলিম কিংবা অমুসলিম মহিলা ডাক্তার না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে জায়েয হবে। এ বিষয়ে ‘ইসলামী ফিকাহ একাডেমি’ থেকে একটি সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে রয়েছে: “শরিয়তের মূল বিধান হচ্ছে- বিশেষজ্ঞ মহিলা ডাক্তার মহিলা রোগীর চেক-আপ করবেন। যদি মুসলিম মহিলা ডাক্তার না পাওয়া যায় তাহলে বিশ্বস্ত অমুসলিম মহিলা ডাক্তার মহিলা রোগীর চেক-আপ করবেন। যদি অমুসলিম মহিলা ডাক্তারও না পাওয়া যায় তাহলে মুসলিম পুরুষ ডাক্তার মহিলা রোগীর চেক-আপ করবেন। যদি মুসলিম ডাক্তারও না পাওয়া যায় তাহলে অমুসলিম পুরুষ ডাক্তার সে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে শর্ত হল, পুরুষ ডাক্তার রোগিনীর শরীরের ততটুকু দেখবেন যতটুকু দেখা রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার স্বার্থে ...
প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0 | বিস্তারিত পড়ুন
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দিনসমূহের মধ্যে এমন কোন দিন নাই যেদিনগুলোর আমল আল্লাহর নিকট এই দশ দিন (অর্থাৎ; যিল-হজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিন) অপেক্ষা অধিক উত্তম। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ওগো আল্লাহর নবী! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও কি এই দিনগুলির আমলের চেয়ে প্রিয় নয়? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও নয়। তবে হাঁ, যদি কোন ব্যক্তি তার জান-মাল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় অতঃপর এসবের কিছুই নিয়ে সে বাড়ি না ফেরে (অর্থাৎ; তার সমস্ত মাল আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে এবং সে নিজেও শহীদ হয়ে যায়) তাহলে এমন জিহাদ অবশ্য এই দিনগুলির আমল হতে উত্তম হবে। رواه البخاري))
হযরত ইবনে উমার (রা.) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এমন কোন দিন নাই যে দিনের আমল আল্লাহর নিকট এই দশ দিনের আমলের চেয়ে অধিক প্রিয় ও মর্যাদাবান। (অর্থাৎ; এই দশ দিনের আমল অন্য কোন দিনের আমলের সাথে তুলনা যোগ্য নয়) ...
প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0 | বিস্তারিত পড়ুন
১
মহান প্রেমের চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শনের দ্বারপ্রান্তে আমরা উপস্থিত, নিজেদের সবচে প্রিয় বস্তুটি করুনাময়ের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার অমিয় শিক্ষা নিয়ে এল পবিত্র কুরবানী। আল্লাহর জন্য কুরবানী করা হযরত আদম আ. এর যামানা থেকেই প্রচলিত।
ঐ সময় মানুষ কুরবানী করে মাঠে রেখে আসত, যার কুরবানী আল্লাহর দরবারে কবূল হত আসমান থেকে আগুন এসে তার কুরবানী করা পশু জ্বালিয়ে দিত।
আল্লাহ তা’আলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের থেকে কুরবানী নিতেন। সে ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম আ. কে আদেশ করেছিলেন তাঁর প্রাণাধিক পুত্র ইসমাইলকে কুরবানী করার।
জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম আ. কঠোর পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন, তিনি সে পরীক্ষা শতভাগ উতীর্ণ হয়েছিলেন। মহান আল্লাহ তা’আলা খলীলুল্লাহর সেই অমর প্রেম কাহিনীকে আমলী রূপ দিয়ে আমাদের মাঝে জীবন্ত করে রেখেছেন। খলীলুল্লাহ হযরত ইবরাহীম আ. ইরাকের অধিবাসী ছিলেন। সেখান থেকে হিযরত করে শাম-সিরীয়ায় চলে আসেন, সেখানেই জন্মগ্রহণ করেন তাঁর প্রাণাধিকপুত্র হযরত ঈসমাইল আ.। স্তন্যপায়ী ঈসমাইলকে নিয়ে সুদূর মক্কায় হিযরতের ...
প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0 | বিস্তারিত পড়ুন