সাম্প্রতিক পোস্ট

সাদাকাতুল-ফিতর ও যাকাত

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 09 সেপ্টেম্বর

রোযাদার যেন তার  রোযাকে বেহুদা ও অশ্লীল কথা বার্তা ও গর্হিত আচরণ থেকে পবিত্র করতে পারেন এবং  ঈদের আনন্দে ধনীদের সাথে গরীব-দুখীরাও যেন শরীক হতে পারে- এ মহান দুইটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে সদাকাতুল-ফিতর ওয়াজীব করা হয়েছেহযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সদাকাতুল-ফিতরকে ওয়াজিব করেছেন-রোযাকে বেহুদা ও অশ্লীল কথাবার্তা জনিত অপরাধ থেকে ও গর্হিত আচরণ থেকে পবিত্র করার উদ্দেশ্যে এবং মিসকিনদের খাদ্যের সুব্যবস্থার জন্যেযে ব্যক্তি  ঈদের নামাজের আগে তা আদায় করবে, তার জন্য তা কবুলকৃত যাকাত বলে গণ্য হবেআর যে ব্যক্তি ঈদের পরে তা আদায় করবে, তার জন্য তা একটি সাধারণ দান হিসাবে গণ্য হবে আবু দাউদ শরীফ

সদাকাতুল-ফিতর মুসলিম উম্মাহর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা ...


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন

 


ফরজ নামায পরবর্তী যিকিরসমূহ

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 07 সেপ্টেম্বর

ফরজ নামায পরবর্তী যিক্রসমূহ  প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ নাময শেষে যে সমস্ত দোয়া পাঠ করা সুন্নত তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো :

أستغفر الله    ৩ বার - আসতাগফিরুল্লাহ। আসতাগফিরুল্লাহ। আসতাগফিরুল্লাহ।

অর্থ : আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। অতঃপর নিম্নের দু’আগুলি ১ বার পড়বে :

اَللّهُمَّ أنْتَ السَّلاَمُ وَ مِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ و اْلإِكْرَامِ  

আল্লাহুম্মা আংতাস্ সালা-ম, ওয়া মিনকাস্ সালা-ম, তাবা-রকতা য়া যালজালা-লি ওয়াল ইকরা-ম। 

অর্থ : “হে আল্লাহ! তুমি শান্তি দাতা, আর তোমার পক্ষ থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়, তুমি বরকতময়, হে মর্যাদাবান ও কল্যাণময়!” 

لا إِلهَ إِلا اللهُ وَحْدَهُ لا شَرِيْكَ لَهُ ؛ لَهُ الْمُلْكُ و َلَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ ؛ لا حَوْلَ وَ لا قُوَّةَ إِلا بِالله ؛ لا إِلهَ إِلا اللهُ وَ لاَ نَعْبُدُ إِلا إِيَّاهُ ؛ لَهُ النِّعْمَةُ وَ لَهُ الْفَضْلُ وَ لَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ ؛ لا إِلهَ اِلا الله ُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَ لَوْ كَرِهَ الْكَافِرُوْنَ ؛ اَللّهُمَّ لا ...


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন

 


পর্দাই নারীর একমাত্র রক্ষাকবজ

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 07 সেপ্টেম্বর


......................................
নারীরসুখ, শান্তি-সফলতা রয়েছে পর্দারমধ্যে নিহীত। রসূলসা.বলেন: একজন নারী সরাসরি আল্লাতাআলার সম্মুখে থাকে, যতক্ষণ সে পর্দার সাথে তার নিজগৃহে অবস্থানকরে। নারী পর্দায় থাকলেতার দোয়ার মাঝে ও আল্লাহতাআলার মাঝে কোন আড়াল থাকেনা। পশ্চিমা নারীরা যখন পর্দ ছেড়েছে তখন তারা তাদের অধিকার হারিয়েছে।
তাই পুরুষের মত রাত-দিন হাড়ভাঙ্গা মেহনত করে তাদের অধিকার আদায় করে নিতে হচ্ছে। ড. বাহজাহবলেন, তিনি আমেরিকায় ‘মুসলিমনারীরঅধিকার’ বিষয়ক একটি কনফারেন্সে ভাষণদিচ্ছিলেন, তার বক্তব্য শুনেএকপর্যায়ে একজন আমেরিকান মহিলাকর্মী দাঁড়িয়ে বললো: মিষ্টার আপনার ইসলাম যদি মেয়েদের এমন সম্মান ও মর্যাদা দিয়ে থাকে তাহলে আমাকে আপনাদের দেশে নিয়ে চলুন, আর আমাকে অমনভাবে একটি মাস বেঁচে থাকতে দিন ,তার পর আমাকে হত্যা করুন, তাতে আমার কোন আফসোস থাকবেনা। কারণ এমন একটি সুখের মাসকেই আমি আমার নারীকুলে জনম নেওয়াকে স্বাার্থক বলে মনে করবো। 
যারা বেঁচে থাকার জন্য জীবনযুদ্ধে নেমেছে আর আল্লাহ ও তার বিধানাবলীকে ছেড়ে দিয়েছে তাদের জীবনে কখনও সুখ আসতে পারেনা। 
আমাদের স্মরণ রাখতে হবে যে, পর্দাই একমাত্র নারীকে সুখের ঠিকানা ...


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন

 


মুসলমান একটি পবিত্র নাম!!!!

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 06 সেপ্টেম্বর

 

একটা গল্প দিয়ে শুরু করলাম, এক বুড়ির খেজুরের রসের পায়েস খাওয়ার খুব সখ ছিল। অনেক কষ্ট করে একদিন সে খেজুরের রসের পায়েস পাক করলো। বুড়ির বাড়ির পাশে একটা বানর ছিল। বানর এসে বুড়ির সখের পায়েস খেয়ে গেল, আর যাওয়ার সময় একটু পায়েস বুড়ির ছাগলের মুখে লাগিয়ে দিয়ে গেল। বুড়ি এসে পেটন ছাগলকেই দিলো কারণ; পায়েস ত ছাগলের মুখেই লেগে ছিল! আসল ঘটনা আশা করি জ্ঞানীরা সহজেই বুঝতে পেরেছে।

 

১৭শ খৃস্টাব্দে ইংরেজরা ভারত বর্ষে  আগমণ করে। ১৭১২ খৃঃ বাংলার সুবেদার আজীমুদ্দীনের কাছ থেকে  সুতানুটি, গোবিন্দপুর, এবং কলকাতা নামক গ্রাম খরীদ করে। ১৭৫৭ সালে পলশী যুদ্ধ হয়, মির জাফরের কারণে বাংলার নবাব সিরাজ উদ দৌলা পরাজিত হয়। এদের দখলদারী শুরু হল, ১৭৫৭ সালে। আর ১৮৫৭ সালে দিল্লীর সর্বশেষ মুসলিম সম্রাট বাহাদুর  শাহকে পরাজিত করে ইংরেজরা ভারত বর্ষে তাদের পূর্ণ রাজত্ব কায়েম করে। সার কথা, ইংরেজদের ভারত বর্ষ দখল করতে সময় লাগে ১০০ বছর। (১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭) এরপর অনেক কথা......। ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ ভারত ...


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন

 


নারী যখন ফেছবুকে .........।

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 02 সেপ্টেম্বর

 

........তাদের জন্যে যারা আখেরাতে বিশ্বাসী-

 

ইসলামই একমাত্র ধর্ম যেখানে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার কোন স্থান নেই। ইসলাম ধর্মে রয়েছে কঠোর পর্দার ব্যবস্থা, আর এপর্দাই হচ্ছে, অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা রোধের একমাত্র হাতিয়ার। মহান আল্লাহ পাক এই “ঐশী পবিত্র বিধান” দ্বারা ইসলাম কে করে তুলেছেন অনন্য, আর এর মাধ্যমে তিনি নারীদের দিয়েছেন সীমাহীন মান-মর্যাদা।

১)পর্দার বিধান যেখানেই লঙ্ঘিত, সেখানে অবাধে প্রবেশ করে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা; আর এ হাতীয়ার দ্বারাই শয়তান মানুষকে

কাবু করে ফেলে, করে তুলে চরিত্রহীন। ফলে মানুষ আস্তে আস্তে হয়ে উঠে আল্লাহ পাকের অবাধ্য। তাই আল্লাহ পাক পর্দার মাধ্যমে অশ্লীলতা, বেহায়া ও নগ্নতার দার চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছেন।

২)অশ্লীলতা, নগ্নতা ও বেহায়াপনা সাধারণত নারীদের  মাধ্যমেই প্রচার-প্রসার ঘটে থাকে, তাই নারীকে আল্লাহ পাক পর্দায় থাকার আদেশ

দিয়েছেন।এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআন মাজীদে সাতটি জলন্ত আয়াত ও হাদীস গ্রন্থে প্রায় আশি খানা সহীহ হাদীস রয়েছে।

৩)মহান আল্লাহ পাক নারীর ইজ্জত ও আবরুর প্রতি এতটাই গুরুত্ব দিয়েছেন যে, তাদের আওয়াজ পর্যন্ত পর্দার অধীনে করে দিয়েছেন,

     এমনকি নারীর ছায়া পর্যন্ত দেখার অনুমতি ...


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন