এ দুনিয়া একা একাই অস্তিত্বে আসে নি বরং মহান আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির মাধ্যমে দুনিয়া অস্তিত্বে এসেছে।
এক সময় পুরা দুনিয়া আবার ধ্বংস হয়ে যাবে।
তবে এর আগে অনেক আলামাত (ক্ষণসমূহ)প্রকাশ পাবে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে এমন কো শতাব্দী যায়নি যার শুরুতে বিস্ময়কর কোন ঘটনা ঘটে নি। এমনি এক শতাব্দীর শুরুতে দাজ্জালের আবির্ভাব হবে।
(আলহাবী খ.২; পৃ.৮৯ তাফসীরে ইবনে আবী হাতিমের বরাতে।)
এ ধরাবাহিকতায় আজ থেকে ১শ বছর পূর্বে এসেছিলো ইনফ্রুয়েঞ্জা আর এবার ১শ বছর করোনা।
১৯১৮ থেকে ১৯১৯ সাল সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে বিশ্বব্যাপি প্রায় ৫ কোটি মানুষ মারা যায়।
মহান আল্লাহ তাআলার এ সমস্ত সৈনিক কত যে ছোট তা বোঝার জন্য আমাদেরকে এদের দেহের গঠন ও আকৃত্রি সম্পর্কে কিঞ্চত ধারণা রাখা দরকার।
বিষয়গুলো ভালোভাবে বোঝার জন্য আমাদের মেট্রিক পদ্ধতির একটা পরিমাপ স্মরণ রাখতে হবে।
#ন্যানোমিটার:
ন্যানোমিটার হলো মেট্রিক পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্যের একটি একক, যা হলো এক মিটারের একশো কোটি ভাগের এক ভাগের সমান।
#ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস কনিকার গঠন।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের গোলাকার, ব্যাস ৮০-১২০ ন্যানোমিটার।
ঠিক ১০০ বছর পর হাজির হলো করোনা। সর্দি -কাশির ভাইরাসের আকার সব সময় একই রকম হয়ে থাকে। কমন কোল্ড ভাইরাস থেকে শুরু করে হার্ড পর্যায়ের সব ভাইরাস দেখতে একটু মুকুটের মত। আর লাতিন ভাষায় করোনা মানে মুকুট তাই বর্তমান সময়ের মহামারীকে "করোনা" নাম ডাকা হয়।
#করোনার ভাইরাসের কনিকার গঠন: ২৭ থেকে ৩৪ কিলো বেস-পেয়ার (kilo base-pair) (কখনও সময় হলে বেস-পেয়ার নিয়ে আলোচনা করবো ইংশা আল্লাহ)
যা ০.২ ন্যানোমিটারের সমান।
এবার চিন্তা করুন ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে করোনা কত ছোট।
করোনাভাইরাস ১৯৬০-এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। প্রথমদিকে মুরগির মধ্যে ছিলো এবার মানুষে।
ভাইরাসটি এতো ক্ষুদ্র যে (2D তথা টু ডাইমেনশন) দ্বিমাত্রিক সঞ্চালন ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের দ্বারাই দেখা সম্ভব। সাধারণ অনুবীক্ষণ দ্বারা একে দেখা মোটেও সম্ভব নয়।
এটি মানব দেহের ডি,এন,এ,কে মুহুর্তেন মধ্যে ভস্ম করে দেয়ে।
জ্ঞান- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে যারা গর্বে মেতে ছিলো তারা আজকে "করোনা"র সামনে কতটা যে অসহায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কোন উপায়ুন্তু না পেয়ে তারা বিশ্ববাসীকে তাড়ায় ঘরে তুলেছে।
একজন ঈমানদার হিসেবে আপনাকে স্মরণ রাখতে হবে যে এরা সবাই মহান আল্লাহ তাআলার বাহিনী।
সারা পৃথিবী বাসিকে করোনা আজকে তাড়িয়ে ঘরে তুলেছে। বাঁচার জন্য শত বছর ধরে তারা যা কিছু আবিস্কার করেছিলো সেগুলো আজকে তাদের জন্য অন্তর জ্বালার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আর এ কঠিন মূহুর্তে তাদের আবিস্কার কোনই কাজে আসলো না। । খোঁড়া ও পা ভাঙ্গা মানুষ যেমন বাঘের সামনে আতঙ্কে প্রাণ হারায় তেমনি বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো আজকে ছোট্ট একটি ভাইরাসের কাছে নিরুপায়। অণু আকৃতির ০.২ ন্যানোমিটারের ছোট্ট এই ভাইরাসটি আজকে জ্ঞানীদের টালমাটাল করে তুলেছে। আমাদের পূর্বে কিছু জাতি অতি বাহিত হয়েছে, তারা তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে গর্বে মেতে উঠেছিলো এবং আল্লাহ কে ভুলে তারা যাবতীয় পাপে ডুবে গিয়েছিলো। তারা নিজেদের স্বাধীন ভেবে ছিলো এবং মনে করেছিলো তাদের প্রযুক্তির সামনে হাত খেলানোর ক্ষমতা কারো নেই। তাই মহান আল্লাহ তাআলা তাদের উপর আসমান থেকে আজাবের এমন চাবুক নাযিল করেছিলেন যে, চোখের পলকে তারা এ পৃথিবী থেকে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। তাদের জ্ঞান-বুদ্ধি প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ার কারণে প্রযুক্তিকেই তারা তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়া-পাওয়ার চরম ও পরম হাতিয়ার মনে করেছিলো। মূলত বস্তুবাদী এমন চিন্তা-বিশ্বাসই মানুষকে নাস্তিকতার উচ্চ শিখরে পৌঁছায় এবং যাবতীয় পাপের পথ দেখায়। বর্তমান যুগের ইয়াহুদী-নাসারারা যতই ধর্মের ঢাকঢোল পেটাক না কেন, তারা বর্তমানে এ বিশ্বাসকেই লালন-পালন করে যাচ্ছে। যারা ঈমানদার তারা বস্তু যগতের যতই উৎকর্ষে পৌঁছুক না কেন, তবুও তারা আল্লাহকেই বিশ্বাস করে এবং গুনাহকে ভয় পায়। এহেন পরিস্থিতিকে তারা আল্লাহ তাআলার আযাব ও গজব মনে করেন। এবং এটাও মনে করেন যে, এমন আযাব ও গজব থেকে বাঁচার কোন জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানুষের হাতে নেই। আর এ সম্পর্কে সর্ব যুগের সেরা জ্ঞানী হযরত মুহাম্মদ সা. আজ থেকে চৌদ্দশত বছর আগেই এ ঘোষণা দিয়ে গেছেন যে, মানুষ যখন আল্লাহকে ভুলে গুনাহে লিপ্ত হবে তখন তাদের আযাবে গ্রাস করে নিবে । রসূল সা. বলেছেন: কোন জাতিতে যখন অশ্লীল ও বেহায়াপনার প্রকাশ ঘটবে এবং তারা এর প্রচার করে বেড়াবে তখন তাদের মধ্যে এমন ব্যাধি প্রকাশ পাবে যা তাদের পূববর্তীদের মধ্যে কখও দেখা যায়নি। (মুসতাদরাকে হাকিম, শুআবুল ঈমান, ইবনে মাজাহ; হাদীসটি সহীহ)। তাই এমন আযাব ও গজবের সময় ঈমানদারদের উচিৎ হবে আসমানী দিক নির্দেশনা মেনে চলা এবং যারা তাওহীদের বিশ্বাসে বিশ্বাসী নয় তাদের সাথে স্রোতে গা না ভাসানো । আমাদের স্মরণ রাখতে হবে; সময় এসেছে তাওহীদের বার্তা পৌঁছানোর। আমরা যদি এখন গাফেল হই তাহলে আমাদের বাঁচার পথও খোলা থাকবে না।
তাওহীদ বিরুদ্ধবাদীদের দাবী:
তারা বলে কোন এক সময় মহা বিস্ফোরণ ঘটে, আর সেই মহা বিস্ফোরণের পরেই আস্তে আস্তে সব কিছু সৃষ্টি হয়। তাদের এ দাবীটা ঘোড়ার ডিমের মত। কারণ তারা আজ পর্যন্ত প্রমাণ দিতে পারে নি যে কখন বা কবে তা ঘটে ছিলো। বিধায় ঘোড়ার ডিম যেমন অস্তিত্বহীন তাদের কথাও তেমন। এরা পঞ্চ ইন্দ্রিয়র সীমিত জ্ঞানের বেড়া-জালে সব সময় ঘুরপাক খায়। যিনি অসীম জ্ঞানের মালিক, যিনি তাদের ‘রূহ’ দিয়ে জীবিত রাখেন, এমন মহান সত্তাকে তারা মানে না। অথছ আজ পর্যন্ত তারা তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দ্বারা রূহ- এর কোন অস্তিত্ব খুঁজে বের করতে পারি নি। এদের মতাবলম্বীদের চিরস্থায়ী জাহান্নাম ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই। হে আল্লাহ! এদের ধোঁকা থেকে মুসলমানদের হেফাজত করুন।
খাঁটি তাওহীদ:
খাঁটি তাওহীদ হচ্ছে,এ কথা দিলে-মনে বিশ্বাস করা যে, মহান আল্লাহ তাআলা এ মহাবিশ্বের সৃষ্টি কর্তা। মহাবিশ্বের সব কিছুই অস্তিত্বহীন ছিলো। মহান আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির দ্বারা সব কিছু অস্তিত্বে এসেছে।
তিনি কত সুন্দরভাবে তাঁর ভাষায় ঘোষণা করেছেন।
اَللهُ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ وَهُوَ عَلٰی كُلِّ شَيْءٍ وَكِيلٌ
আল্লাহ তাআলা সব কিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সব কিছুর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
(সূরা,যুমার;৬২)
بَدِيعُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَإِذَا قَضٰى أَمْراً فَإِنَّمَا يَقُولُ لَہٗ كُنْ فَيَكُونُ
তিনি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের উদ্ভাবক। যখন তিনি কোন কিছু কার্য সম্পাদনের সিদ্ধান্ত নেন, তখন সেটিকে এ কথাই বলেন, ‘হয়ে যাও’ তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়। (সূরা, বাকারা;১১৭)
أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقاً فَفَتَقْنَاهُمَا
কাফেররা কি ভবে দেখে না যে, আসমান ও যমীন একটা অপরটার সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম। (সূরা, আম্বিয়া;৩০)
যাদের আল্লাহ আছে তাদের তাঁর উপরই ভরসা করা চাই।
যারা এক আল্লাহতে বিশ্বাসী আল্লাহ তাআলা তাদের ওলী ও সাহায্যকারী তাদের কোন ভয় নেই। যদি গোনাহগার হয় আল্লাহ তাদের গোনাহ মাফ করে দিবেন। এদের মউতে কোন ভয় থাকে না। নেক আমালের দ্বারা তারা তাদের আখেরাতকে সব সময় আবাদ রাখে। আর যাদের আখেরাত ভালো হয় তাদের আল্লাহর সাথের সাক্ষাৎও ভালো হয়।
আর সার্বক্ষণিক তাদের চাওয়া পাওয়া তাঁর কাছেই থাকে।
বিশেষ মূহুর্তে বিশেষ কিছু চাওয়া এবং পাওয়া।
নামাজের পর প্রথমেই ক্ষমা তার পর চাওয়া। পূর্ণ মনোযোগের সাথে হওয়া চাই।
أَسْتَغْفِرُ اللهِ ৩ বার
আসতাগফিরুল্লাহ। আসতাগফিরুল্লাহ। আসতাগফিরুল্লাহ।
অর্থ : আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
অতঃপর নিম্নের দু’আগুলি ১ বার পড়বে :
اَللّٰهُمَّ أنْتَ السَّلاَمُ وَ مِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ و اْلإِكْرَامِ
আল্লাহুম্মা আংতাস্ সালা-ম, ওয়া মিংকাস্ সালা-ম, তাবা-রকতা য়া যালজালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।
অর্থ : “হে আল্লাহ! তুমি শান্তি দাতা, আর তোমার পক্ষ থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়, তুমি বরকতময়, হে মর্যাদাবান ও কল্যাণময়!”
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ؛ لَهُ الْمُلْكُ و َلَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ ؛ لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ ؛ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَ لاَ نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ ؛ لَهُ النِّعْمَةُ وَ لَهُ الْفَضْلُ وَ لَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ ؛ لَا إِلٰهَ اِلَّا الله ُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَ لَوْ كَرِهَ الْكَافِرُوْنَ ؛ اَللّٰهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَ لَا مُعْطِىَ لِمَا مَنَعْتَ وَ لَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা-শারীকালাহ, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িং ক্বদীর, লা-হাওলা ওয়া লা-ক্বুউওয়াতা ইল্লা-বিল্লা-হ, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া লা- না’বুদু ইল্লা- ইয়্যা-হু, লাহুন নি’মাতু ওয়ালাহুল ফাজলু ওয়ালাহুছ্ ছানা- উল হাসান, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুখলিসীনা লাহুদ্দীন, ওয়ালাও কারিহাল কাফিরূন, আল্লা-হুম্মা লা-মা-নিআ’ লিমা আ’ত্বাইতা ওয়ালা মু’ত্বিয়া লিমা মানা’তা ওয়ালা-য়ানফা‘উ যালজাদ্দি মিংকাল জাদ্দু।
অর্থ : “আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, সকল বাদশাহী ও সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সব কিছুর উপরেই ক্ষমতাশালী। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া দুঃখ কষ্ট দূরকরণ এবং সম্পদ প্রদানের ক্ষমতা আর কারো নেই। আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বূদ নেই। আমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি, নিআ’মতসমূহ তাঁরই, অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বূদ নেই। আমরা তাঁর দেয়া জীবন বিধান একমাত্র তাঁর জন্য একনিষ্ঠভাবে পালন করি। যদিও কাফিরদের নিকট উহা অপছন্দনীয়। হে আল্লাহ! তুমি যা প্রদান কর তাতে বাধা দেওয়ার কেউ নেই। আর তুমি যা বাধা দাও তা প্রদান করারও কেউ নেই এবং তোমার গযব হতে কোন বিত্তশালীকে তার ধনসম্পদ রক্ষা করতে পারবে না।”
মাগরিব ও ফজর নামাযের পর পূর্বের দোয়াগুলোসহ নিম্নের দোয়াটি ১০ বার পড়বে।
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ؛ لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ يُحْيِىْ وَ يُمِيْتُ وَ هُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ.
লা-ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহ, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু, য়ুহয়ী ওয়া য়ুমীতু ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িং ক্বদীর।
অর্থ : “আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। সকল বাদশাহী ও সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য। তিনিই জীবিত করেন ও মৃত্যু দান করেন। তিনিই সব কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী।”
অতঃপর “سُبْحَانَ اللهِ” ৩৩ বার, “اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ” ৩৩ বার, “ اَللهُ أَ كْبَرُ” ৩৩ বার পড়বে।
এই মোট ৯৯ বার আর একশত পূর্ণ করতে নিম্নের দোয়াটি পড়বে।
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ؛ لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ.
লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহ, লাহুল মুলকু,ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িং ক্বদীর।
অর্থ : “আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। সকল বাদশাহী ও সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য। তিনিই সব কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী।”
অতঃপর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে :
اَللهُ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهٗ سِنَةٌ وَّ لا نَوْمٌ لَّهٗ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَ مَا فِى الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهٗ إِلَّا بِإِذْنِهٖ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَ مَا خَلْفَهُمْ وَ لَا يُحِيْطُونَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِهٖ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَ الْأَرْضَ وَ لاَ يَؤُودُهٗ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِىُّ الْعَظِيمُ (255)
سورة البقرة
আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা-হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ূম, লা-তা’খুযুহু সিনাতুউ ওয়ালা-নাউম, লাহু মা-ফিস্ সামাওয়া-তি ওয়ামা-ফিলআরয্, মাংযাল্লাযী য়াশফা‘উ ইংদাহু ইল্লা-বিইযনিহ্, য়া’লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খলফাহুম, ওয়ালা য়ুহীতূনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহী ইল্লা-বিমা-শা-আ, ওয়াসি‘আ কুরসিইয়ুহুস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরয্, ওয়ালা-য়াঊদুহু হিফযুহুমা-ওয়াহুওয়াল আলিইয়ুল আযীম।
অর্থ : “আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক, তাকে তন্দ্রা এবং নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তাঁর। কে আছে এমন যে, তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত আছেন। যতটুকু তিনি ইচ্ছে করেন ততটুকু ছাড়া তারা তাঁর জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর কুরসী সমস্ত আকাশ ও পৃথিবীময় পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোর রক্ষণা-বেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না। তিনি মহান শ্রেষ্ঠ।” [সূরা বাকারা ২৫৫ আয়াত]
অতঃপর সূরা ইখলাস, সূরা নাছ এবং সূরা ফালাক্ব পাঠ করবে।
মাগরিব ও ফজর নামাযের পরে এই সূরা তিনটি তিনবার করে পুনরাবৃত্তি করবে। এ ভাবেই পাঠ করা উত্তম।
আগে দোয়াগুলোর অর্থ দেখুন, বুঝুন নিজে পড়ুন অপরকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
سُبْحَانَ اللهِ وَ بِحَمْدِهٖ
(৪) সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াবি হামদিহি। (১০০ বার)
অর্থ: “প্রশংসা সহকারে আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি”।
দেখুন কেমন নিরাপত্তা।
بِسْمِ اللهِ الَّذِىْ لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْئٌ فِى الٗأَرْضِ وَ لاَ فِى السَّمَاءِ وَ هُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ ..
(৫) বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা-য়াযুররু মা‘আসমিহী শাইউং ফিল আরযি ওয়ালা-ফিস্ সামা-য়ি ওয়াহুওয়াস্ সামীউল
আলীম। (৩ বার)
অর্থ: “শুরু করছি সেই আল্লাহর নামে, যার নামের সাথে আসমান এবং যমীনের কোন বস্তুই কোন ক্ষতি করতে পারবে না, তিনি মহাশ্রোতা, মহাজ্ঞানী”।
أعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ .
(৬) আ’ঊ-যু বিকালিমা-তিল্লাহিত্ তা-মমা-তি মিং শাররি মা-খলাক্ব।
(৩ বার)
আল্লাহর রেজামন্দী তালাশ করতে থাকুন সুখী হবেন।
অর্থ: “আশ্রয় প্রার্থনা করছি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীসমূহের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে”।
رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَّ بِالْإِسْلاَمِ دِيْنًا وَّ بِمُحَمَّدٍ نَّبِيًّا وَّ رَسُوْلاً.
(৭) রযীতু বিল্লা-হি রব্বা-, ওয়াবিল ইসলা-মি দী-না- ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যাও ওয়া রাসূলা-
(৩ বার)।
অর্থ: “আমি সন্তুষ্ট চিত্তে গ্রহণ করেছি আল্লাহকে প্রভূ হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) নবী ও রাসূল হিসেবে”।
মুমিনের ভরসা আল্লাহর উপর থাকে।
حَسْبِىَ اللهُ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَ هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ .
(৮) হাসবিয়াল্লা-হু লা-ইলা-হা ইল্লা-হু, আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুওয়া রব্বুল আরশিল আযীম। (৭ বার)
অর্থ: “আল্লাহ আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই, তাঁর প্রতি ভরসা করেছি, তিনি মহান আরশের অধিপতি”।
আল্লাহর শুকর গুঁজার বান্দা হন।
اَللّٰهُمَّ مَا أصْبَحَ بِيْ مِنْ نِعْمَةٍ أَوْ بِأَحَدٍ مِّنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ.
(১৩) আল্লাহুম্মা মা’আসবাহা বী মিন নি’মাতিন আও বি আহাদিম মিন খলক্বিকা ফামিনকা ওয়াহদাকা লা-শারীকা লাক্,
ফালাকাল হামদু ওয়া লাকাশ শুকরু।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার সাথে যে নেয়ামত সকালে উপনিত হয়েছে বা তোমার সৃষ্টি জগতের কারো সাথে, তা সবই একক ভাবে তোমার পক্ষ থেকে তোমার কোন শরীক নেই। সুতরাং কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা মাত্রই তোমার জন্য।
সন্ধ্যার সময় বলবে: আল্লাহুম্ম মা-আমসা বী মিন নি’মাতিন (বাকী অংশ পুরাটা)
শিখুন কিভাবে নিরাপত্তা চাইতে হয়।
ياَ حَيُّ ياَ قَيُّوْمُ بِكَ أَسْتَغِيْثُ فَأَصْلِحْ لِيْ شَأْنِيْ وَلَا تَكِلْنِيْ إلٰى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ.
(১৪) ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়ূমু বিকা আসতাগীছ্, ফা আসলিহ লী শা’নী ওয়ালা তাকিলনী ইলা-নাফসী ত্বরফাতা আইন।
অর্থ: হে চিরঞ্জিব, চিরস্থায়ী! তোমার কাছে আমি সাহায্য প্রর্থনা করছি, সুতরাং আমার সকল অবস্থা সংশোধন করে
দাও এবং এক পলকের জন্য হলেও আমাকে আমার নিজের উপর ছেড়ে দিও না।
اَللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَدَنِيْ، اَللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ سَمْعِيْ، اَللّٰهُمَّ عاَفِنِيْ فِيْ بَصَرِيْ لَا إلٰهَ إلَّا أَنْتَ
(১৫) আল্লাহুম্মা আ’ফিনী ফী বাদানী, আল্লাহুম্মা আ’ফেনী ফী সাময়ী, আল্লাহুম্মা আ’ফেনী ফী বাছারী, লা-ইলা-হা ইল্লা-আন্তা।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ,আমার শরীরে ,কর্ণে ও চোখে নিরাপত্তা দান কর। তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ নেই। (৩ বার)
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ والْفَقْرِ وأَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ لَا إِلٰهَ إلَّا أَنْتَ
(১৬) আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাক্বরি ওয়া আঊযুবিকা মিন আযাবিল কবরী, লা-ইলা-হা ইলআন্তা-।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি কুফুরী ও দারিদ্রতা থেকে এবং আশ্রয় প্রার্থনা করছি ক্ববরের
আযাব থেকে। তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ নেই। (৩ বার)
এমন নিরাপত্তা কে দিতে পারে? এ দুয়া কক্ষনও ভুলবেন না।
اَللّٰهُمَّ إِ نِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِيْ الدُّنْيَا وَالْاٰ خِرَةِ، اَللّٰهُمَّ إِ نِّيْ أسأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِيْ دِيْنِيْ وَدُنْيَايَ وَأهْلِيْ وماَلِيْ
اَللّٰهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِيْ واٰمِنْ رَوْعاَتِيْ ، اَللّٰهُمَّ احْفَظْنِيْ مِنْ بَيْنَ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِيْ ، وَعَنْ يَمِيْنِيْ ، وَعَنْ شِماَلِيْ ، وَمِنْ فَوْقِيْ
، وَأعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَ نْ اُغْتاَلَ مِنْ تَحْتِيْ
(১৭) আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্ আলুকাল আ-ফিয়াতা ফিদ্ দুনইয়া ওয়াল আ-খিরাহ,আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্ আলুকাল্ আফওয়া
ওয়াল্ আ-ফিয়াতা ফী দীনী ওয়া দুনইয়া ইয়া, ওয়া আহলী ওয়া মা-লী,আল্লা-হুম্মাস্ তুর আওরা-তী ওয়া আ-মিন রওআ-তী,আল্লাহুম্মাহ্ ফাযনী মিম্ বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খলফী, ওয়া আন ইয়ামীনী, ওয়া আন শিমা-লী, ওয়া মিন ফাওক্বী, ওয়া আঊযু বি আযামাতিকা আন উগতালা মিন তাহ্তী
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা কামনা করছি। হে আল্লাহ! আমি প্রার্থনা করছি তোমার কাছে ক্ষমার এবং আমার দ্বীন , দুনিয়া, পরিবার-পরিজন এবং সম্পদের নিরাপত্তা। হে আল্লাহ আমার গোপন বিষয় সমূহকে ঢেকে রাখ এবং আমাকে ভয়-ভীতি থেকে নিরাপত্তা দান কর । হে আল্লাহ তুমি আমাকে হেফাযত কর আমার সম্মুখ থেকে, পিছন থেকে, ডান দিক থেকে, বাম দিক থেকে এবং উপর দিক থেকে। আর আমি ধ্বসের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হওয়া থেকে তোমার মহাত্ম্যের অসীলায় পরিত্রান চাচ্ছি।
বিশ্বাস নিয়ে পড়ুন।সকালে পড়ে মারা গেলে জান্নাতী, সন্ধ্যায় পড়ে মারা গেলেও জান্নাতী ।
اَللّٰهُمَّ أَنْتَ رَبِّيْ لَا إِلٰهَ إلَّا أَ نْتَ، خَلَقْتَنِيْ وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلٰى عَهْدِكَ، وَوَعْدِكَ ماَ اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّمَاصَنَعْتُ، أَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوْءُ بِذَنْبِيْ، فَاَغْفِرْ لِيْ فَإ نَّهٗ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إلَّا اَنْتَ
( ২০) আল্লাহুম্মা আংতা রব্বী লা-ইলা-হা ইল্লা- আংতা, খলাক্ব তানী, ওয়া আনা আব্দুকা, ওয়া আনা আলা- আহদিকা, ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাত্ব’তু, আঊযুবিকা মিন শাররি মা সনা’তু,আবূউ লাকা বি নি’মাতিকা আ’লাইয়্যা, ওয়া আবূউ বিযাম্বী,ফাগ্ফিরলী ফাইন্নাহু লা- য়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা- আংতা।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রভু-প্রতিপালক, তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ নেই, তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো এবং আমি তোমার বান্দা। আমি সাধ্যানুসারে তোমার সাথে কৃত প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর কায়েম রয়েছি। আমার কৃত কর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় কামনা করছি, আমার প্রতি তোমার নেয়ামত স্বীকার করছি এবং তোমার দরবারে আমার পাপকর্মেরও স্বীকারোক্তি দিচ্ছি। সুতরাং তুমি আমায় ক্ষমা কর, কেননা তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না।
মহামারি দূর করতে দরুদের কোন বিকল্প নাই।
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰی مُحَمَّدٍ وَّ عَلٰی اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰی إِبْرَاهِيْمَ وَ عَلٰی اٰلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ، اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰی مُحَمَّدٍ وَّ عَلٰی اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰی إِبْرَاهِيْمَ وَ عَلٰی اٰلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
(২১) আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া 'আলা আলি মুদাম্মাদ। কামা সল্লাইতা আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলা আলি মুদাম্মাদ। কামা বারাক্তা আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
(দশ বার)
অর্থ: অর্থ-হে আল্লাহ, দয়া ও রহমত করুন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি এবং তার বংশধরদের প্রতি, যেমন রহমত করেছেন হযরত ইবরাহীম (আঃ) ও তার বংশধরদের উপর। নিশ্চই আপনি উত্তম গুনের আধার এবং মহান। হে আল্লাহ, বরকত নাযিল করুন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি এবং তার বংশধরদের প্রতি, যেমন করেছেন হযরত ইবরাহীম (আঃ) ও তার বংশধরদের উপর। নিশ্চই আপনি প্রশংসার যোগ্য ও সম্মানের অধিকারী ।
আমরা রসূলুল্লাহ সা. এর উম্মাত আমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত। দুআ আমাদের হাতিয়ার। আমরা যদি নিজ জায়গা থেকে তউবা ও ইসহিগফার করি তাহলে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন এবং রাজী হয়ে যাবেন।